Monday, March 19, 2012

Agent Nati Binodini - Part 2


পরবর্তি স্টেশন ময়দান ঠীক যেন মেট্রোর দরজা টা আমার জন্য ই অপেক্ষা করছিল|এবং ভেতরে ঢুকে বসার জায়েগা ও পেয়েগেলুম|তীন কাপ দার্জিলিং টি-এর পর দুপুরএ ঝিমনর বেপার টা মাথা তে না আনা টাই ভাল, যদিও ক্ষীদে ও পেয়েছিল ভালোরকম| নন্দা বার বার Flury’s এ খাওয়ার কথা বলছিল, কিন্তু আমি-ই না করলুম – প্রথম বারেই একজন অচেনা ক্যান্ডিডেট-এর কাছ থেকে এত সুযোগ নেওয়া টা আমার পুরুষার্থ এর ওপর হয়েত খূব বড় প্রশ্ন| নাকতলা স্টেশন আস্তে মিনিট কুড়ি সময় ছিল প্রায়, তাই ল্যাপটপ টা বার করে সুনীল চ্যাটার্জীর পিএর পাঠান email টা আবার পড়তে লাগলুম – ‘tall, and preferably dusky girls would be great’| এখনো অবধি যে কটা মেয়ে দের সিলেক্ট করছিলুম, নন্দা কে দেখে মনে হল সে ওদের সবার উর্ধে – চেহারা এবং কথা বার্তা দুই তেই| নাহলে সাত সকালে আমাকে চমকে দেওয়ার ক্ষমতা খূব কম লোকে রাখে|

অন্য বড় শহরের তুলনা-এ হয়েত কলকাতা সেই ভাবে ইঁদুর দৌড়ে পেরে ওঠেনি গত বছর দশেকে, তবে যতটুকুনি হয়েছে, তাতে আমার লাভ ই হয়েছে সেটা বলা ভূল হবেনা| এবং জাঁক যমক এর সাথে জঞ্জাল গুলো নতুন নতুন আকার নিয়েছে, সেগুলো কে সরাতে গেলে নতুন ধরনের কায়েদাও লাগে| সেইজন্য একটি সাদামাটা detective agency চালালে টা কোনও দিন ও হবেনা| সেইজন্য একটি মডেল্লিঙ্গ এজেন্সির সাজ নিয়ে নেমেছিলুম বাজারে ছ বছর আগে| আর চারটে লোক হয়েত এই ভাববে যে এই বয়েসে বিয়ে ঠ না করে মেয়েবাজি করে বেরাছে| কিন্তু আসল মেয়েবাজ র যে একেবারে অন্য রকম মুখোশ পড়ে বসে থাকে, সেটা আর কজন জানতে গিয়েছে? আমার কাছে যেয়ে মেয়েগুলো কাজ চাইতে আসে  – তাদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে আমার কমিশন বলতে শুধু জঞ্জাল গুলো কে জাল এ ফাসিয়ে দেওয়ার রাস্তা টুকু – সে একটা ক্যামেরা ফোনে এ তোলা ছবি ও হতে পারে অথবা একটি HD ভিডিও| কিন্তু আমার ব্যবসা যদি ডিটেক্টিভ এজেন্সি নয়ে – তাহলে আমার ক্লায়েন্ট আসে কোথা থেকে? এবং মেয়ে গুলো কে কী আমি শুধু নিজের স্বার্থেই পথই? দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হয়েত অনেকটা তাই, তবে আমার কাজ হয়ে যাওয়ার পর আমি প্রায়ে ওদের সবার জন্য আরও বড় এজেন্সি তে কাজ এর ব্যবস্থা করে দি – এবং তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি আছে যে তারা ওদের দিকে ভুল চোখে তাকাবার চেষ্টা ও করবেনা – কারণ তাদের মালিক এর মেয়ে কে আমি এরকম-ই একটি জঞ্জাল-এর কাছ থেকে বাচিয়ে ছিলাম – টা সেই কৃতজ্ঞতা বোধ টা ওর রেখেছে|

আর প্রথম প্রশ্ন – আমার ক্লায়েন্ট আসে কোথা থেকে? সত্য তো এই যে তারা আসেনা নিজে থেকে – আমি তাদের খূজে বার করি – খবরের কাগজ এবং TV news থেকে|জঞ্জাল গুলো যখনই নিজের নোংরা হাথ দেয়ে কোনও মেয়ের ওপর, আমার অ্যান্টেনা গুলো যেন নিজের থেকেই ক্লায়েন্ট এর বাড়ি গিয়ে তাদের সাহায্য করতে| আমি কী পাগল যে এই যুগে নিজের সব কিছু ছেড়ে সমাজ এর কল্যাণ করতে চলেছি? তা একটু পাগল বটে, তবে এর পরিবর্তে একেবারে কিছু যে পাইনা তা ঠীক নয়ে, সেই পরিবার গুলোর ভালোবাসা পেয়ে তহ বুঝেছি আপনজন কার হয়ে| ছোট থেকে শুধু বুঝেছি বাবা কাজের পরে বাড়ি না এসে ওই আমার ছাড়া যে কোনও মহিলার কাছে যেত, এবং মা সেটা দিনের পর দিন না সজ্জ করতে পেরে একদিন বঁটি তা একদিন বাবার ডান হাথ-এর ওপর চালিয়ে দিয়েছিলো...

“পরবর্তি স্টেশন গীতাঞ্জলি” তীন কাপ চা খাওয়া সত্তেও প্রায়ে ঝিমিয়ে পড়েছিলুম| কোনরকমে ল্যাপটপ টাকে বন্ধ করে স্টেশন এ নেমে তাড়াতাড়ি বাড়ি দিকে হাঁটা দিলুম| একবার মনে হল হয়েত কেউ আমায়ে ফলো করছে, তারপর ভাবলাম “না, ক্ষীদে তা বেশি- পেয়েছে মনে হয়ে” বাড়ি পৌছে মাইক্রোওয়েভ এ আগে কর দিন-এর ফ্রায়েড রাইস তা গরম করতে করতে ল্যাপটপ এ সুনীল চ্যাটার্জীর ওপর Google সার্চ কঢ়্লুম, এবং রেজাল্ট গুলো প্রায়ে সব ই চোখ এড়িয়ে যাচ্ছিল, শুধু কয়েক মাস আগে তার একটা শো-এর ঘটনা নজর তা কেদে নীল...
ক্রমশ 

No comments: