Saturday, March 17, 2012

Agent Nati Binodini - Part 1


“তা কেমন আছেন মশাই!” চা এর ভাড় এ চুমুক টা দিতে না দিতেই দেখি একটি অল্প বয়েশি মেয়ে আমার দিকে হাত নেডে হাসছে| যদিও এরকম ঘটনা আমার সাথে যে আগে ঘটেনি টা নয়ে, তবু ও কিরম জানি একটু অবাক ই লাগলো | তাও সব রকমের ধারনা মনে থেকে সরিয়ে দিয়ে উত্তর দিলুম, “ভালই, তবে আপনাকে ঠীক চিনলুম না জে....” মেয়েটি আমার দিকে এগিয়ে এশে বললো “টা ঠীক, না চেনার ই কথা, অরম ভাবে একজন আছেন পুরুষ মানুষ কে রাস্তার মাঝখানে হঠাত্‍ করে আমার মত একজন আধ-পাগলী এশে তাড়া করলে হয়েত তাই হয়ে| টা আগুন হবে নাকি?” দেখি আমার সাথে কথা কথা বলতে বলতে মা লক্ষীর দুটি সুন্দর আঙ্গুলের মাঝখানে একটি ক্লাসিক মাইল্ড নড়া চড়া করছে| এবং মা লক্ষী সে বটে, পরনে তার একটি  ঢপ ধপে সাদা শার্ট এবং নীল রঙের জীন্স – দুটোই কোনও শীতলঘর শপিং মল এর সন্তান মনে হয়ে, এবং পুরুষ দের আকর্ষিত করার জন্য শার্টের প্রথম দুটি বোতাম খোলা, যাকে আজকাল কার ছেলে মেয়ে গুলো বলে ‘hotness factor’, এবং তার সুন্দর কাল চুল টাকে অত্রীরিক্ত যত্ন নিয়ে বাঁধা, আর কপালের ওপর আটকানো সাংগ্লাস্স টি যেন তার চুলের বাঁধন এর রক্ষা করছে| তাঁর মুখটি জে খূব সুন্দর টা হয়েত বলা যাবে না, তবে চোখ একটি চাপা রাগ, এবং অল্প শ্যাম বর্ণে তাকে সেটি ওই নভেম্বর এর সকালে মানাচ্ছিল বললেই ভাল|

এইসব ভাবতে ভাবতে পাঞ্জাবীর পকেট থেকে কোনও রকমে লাইটার টি বারকরে মা লক্ষীর সিগারেট টি ধরিয়ে দিলুম|জামা কাপড় দিয়ে দেখতে গেলে কিরম যেন নিজেকে একটু ভিখিরি মনে হচ্ছিল, তবে এই পেশা এ টিকে থাকতে গেলে সেটি জে একটা occupational hazard মেনেই চলে এসেছি এত বছর ধরে| কেসের পর কেস নামাতে গেলে জে ভীড়ের মধ্যে মীশে যাওয়াটাই সবার আগে দরকার, সেটি যদি গিরীশ চন্দ্র ঘোষ না বোঝে, টা বুঝবে বাপু? শুনেছি আজকাল কর মেয়ে গুলো নাকি আমার মত সাদা মাটা পুরুষ মানুষ দের প্রতি অকর্ষিত হয়ে বেশি, কথা টি জে কত টা সত্য সেটি এই মা লক্ষীর আগমন এর আগে ঠীক বুঝছিলুম না মনে হয়ে| মুখে থেকে যেন বেরিয়ে-ই আসছিল, “তা মা লক্ষী, হটাত্‍ এত ভাল দেখতে সব পুরুষ মানুষ ছেড়ে আমার সঙ্গে আড্ডা দিতে এলেন কেন?” কিন্তু কোনও রকমে নিজেকে সামলে বললুম “আপনার মনে হয়ে বেশ জরুরী দরকার আমার সাথে”| মেয়েটি মুচকি হেসে বললো “কী করে বুঝলেন?” “সেটি না জানলে আপনি আমার কাছে আসতেন না মনে হয়ে” আবার হাসি, “ঠীক ধরেছেন মশাই| তা দরকার টি রাস্তার ওপারের Barista-এ বসে আলোচনা করলে কিরম হয়ে?” “ভালই হয়ে, যদিও আমি কিন্তু চা প্রেমী”
কফী শপ এ বসে দার্জিলিং টী এবং capuccino’র চুমুক দিতে দিতে নিজেদের আলাপ গুলো সারা হল| মেয়ে টি নিজের বাগ থেকে একটি কার্ড বার করে আমার দিকে এগিয়ে দিল| Girish Ghosh’s Angels, বেশ কয়েক দিন আগে ছাপানো, কালীঘাট এর একটি ছেলে – আমার একটি কোনও ক্লায়েন্ট আর ভাই – বানিয়ে দিয়েছিলো| কার্ড দেওয়ার পর থেকে মেয়ে আসার সংখ্যা একটু বেড়েছিল ঠীক ই , তবে তাদের কাজের প্রতি টান তা মনে হয়ে কমছে| এবং তাদের দশ দেব না, কারণ ইদানিং কালে কলকাতা শহর আর সেইরকম ভাবে জঞ্জাল মুক্ত নেই| নতুন বাড়ি, নতুন গাড়ি, নতুন আনন্দ করার জায়েগা, এবং তার সঙ্গে আয়ীন কানূন এর পিণ্ডি চটকান| তাতে collateral damage হয়েত এক আধ বার হতে পারে, কিন্তু প্রত্যেক বার একটি করে বলির পাণ্ঠা জোগাড় করলে পরে আমার ভদ্র সমাজে বাস করে অসম্ভব হয়ে যাবে|
চা এর আরেকটি চুমুক দিয়ে মেয়ে টি কে তার নাম জিগেশ করলুম, যাতে মা লক্ষী বললেন “নন্দা”| নাম টি জে ফাও সেটি বুঝতে আমার দুই সেকন্ড ও লাগলো না, তবে সেটা ফাঁস না করে তাকে প্রশ্ন করলুম “তা নন্দা, আপাতত আমার কাছে কোনও নতুন অফার আসে নি, তবে তোমার মুখ টি দেখলে হয়েত যেকোনো ডিজাইনার লাফিয়ে উঠবে তার শো তে তময়ে নিতে” মুচকি হাসি এবার আরেকটু বেড়ে সে বললো “তা বটে, তবে শুনেছি দু সপ্তাহ পরে সুনীল চ্যাটার্জী একটি শো আছে, তাতে যদি সব মডেল দের লিস্ট না রেডি হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে আমার কথা তা ভাব যেতে পারে কী?” সুনীল চ্যাটার্জীর শো করলে জে কোনও মেয়ের ব ভবিষ্যত্‍ তুঙ্গে চলে যাবে সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তবে নন্দার কথা গুলো শুনে যেন মনে হল সেই হয়েত উল্টে সুনীল কে ধন্য করতে চলেছে তার শো করে| আমার কার্ড তার দিকে চেয়ে থেকে বললুম “মতামটি সব নাম ফাইনাল হয়ে গিয়েছে ঠীক ই, তবে একটি মেয়ে বলছিল তার মা বাবা নাকি ওসব মডেল্লিঙ্গ পছন্দ করে না, তাই ভাচিলুম যদি তার জাএগায়ে তোমাকে নেওয়া জায়ে”
নিতে তো আমাকে ওকে হবেই, কারণ আমি জনতুম তাতেই হয়েত আমাদের দুজন কার ই দরকার মিটবে...

ক্রমশ

No comments: